শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৫৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
Welcome To Our Website...
সংবাদ শিরোনাম :
কোস্ট গার্ডের অভিযানে হরিণের মাংস ও পা’সহ আটক-১; শোক সংবাদ; বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে সড়ক অবরোধ; পিরোজপুরে জাতিয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলেদের মধ্যে সাঁতার প্রতিযোগিতা ২০২৫ ইং উদযাপন ; নওগাঁর আত্রাইয়ে নবগঠিত মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত; মঠবাড়ীয়ায় জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত; আত্রাইয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন; কাউখালীতে জামায়াতে ইসলামীর ভোটকেন্দ্র প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত; কাউখালীতে মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন; ভাণ্ডারিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ভোট কেন্দ্র প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত; বেলকুচিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত; টাইফয়েড এর টিকাদান কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা; মোংলায় মেরিন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নির্বাচনে রফিক সভাপতি, জাহিদুল সম্পাদক; জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ /২৫ উদযাপন; গোল্ডেন এওয়ার্ড ও সম্মাননা স্মারকে ভূষিত হয়েছেন মুফতী হারুনুর রশীদ হাবিবুল্লাহ্; অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে- জুলফিকার আলী ; আল-আকসা ফাউন্ডেশনের কুইজ প্রতিযোগীতা ২০২৫ এর প্রতিযোগীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান; মঠবাড়ীয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মবার্ষিকী পালিত; কাউখালীতে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ; বেলকুচিতে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা;

ঐতিহাসিক সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস;

মোঃ সোহরাওয়ার্দী
ব্যুরো প্রধান রাজশাহী

১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিতে সলঙ্গার হাটে বিলেতি পণ্য বর্জন আন্দোলনের কর্মীসহ সাড়ে চার হাজার সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
ব্রিটিশ শাসনামলে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী অসহযোগ আন্দোলন ও খেলাফত আন্দোলনে জনতা উদ্বেলিত হয়ে বিলেতি পণ্য বর্জন করে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। এমনি একটি আন্দোলনের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে সলঙ্গায়। সে সময় তৎকালীন পাবনা জেলার (বর্তমান সিরাজগঞ্জে) সলঙ্গায় একটি ব্যবসায়িক জনপদ হিসেবে সপ্তাহে দু’দিন হাট বসত। ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি ছিল বড় হাটবার। মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের কর্মীরা হাটে নামেন বিলেতি পণ্য কেনাবেচা বন্ধ করতে। আর এই স্বদেশি আন্দোলনের কর্মীদের রুখতে ছুটে আসেন পাবনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আর এন দাস, জেলা পুলিশ সুপার ও সিরাজগঞ্জ মহকুমা প্রশাসক এস কে সিনহাসহ ৪০ জন সশস্ত্র পুলিশ।
সলঙ্গার গো হাটায় ছিল বিপ্লবী স্বদেশি কর্মীদের অফিস। পুলিশ কংগ্রেস অফিস ঘেরাওপূর্বক গ্রেফতার করে মাওলানা আবদুর রশিদকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুক্ত করতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিদ্রোহে ফেটে পড়ে সলঙ্গার সংগ্রামী জনতা। জনতার ঢল ও আক্রোশ দেখে ম্যাজিস্ট্রেট জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি চালাতে নির্দেশ দেন। শুরু হয় বুলেট-বৃষ্টি। ৪০টি রাইফেলের মধ্যে মাত্র একটি থেকে কোনো গুলি বের হয়নি। এ রাইফেলটি ছিল একজন বাঙ্গালী পুলিশের। হত্যাকাণ্ডে হতাহতের সরকারি সংখ্যা চার হাজার পাচশত (৪৫০০) দেখানো হলেও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার মতে এর সংখ্যা দশ হাজার (১০০০০) এরও অধিক।
মাওলানা আবদুর রশিদ সলঙ্গা বিদ্রোহের মাধ্যমে উপনিবেশিক শাসনের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিলেন। সলঙ্গার রক্তসিক্ত বিদ্রোহ শুধু বাংলার মাটিকে সিক্ত করেনি, সিক্ত করেছে সমগ্র উপমহাদেশ। যে রক্তে ভেজা পিচ্ছিল পথে অহিংস, অসহযোগ আন্দোলনে যা কিছু অর্জিত হয়েছে, তা সলঙ্গা বিদ্রোহেরই ফসল।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Copyright © Frilix Group
প্রযুক্তি সহায়তায় মাল্টিকেয়ার